মসজিদভিত্তিক বক্তব্যে ঢাকা রেঞ্জের সেরা চরভদ্রাসন থানার ওসি জিয়ারুল

৪২৬

সাজ্জাদ হোসেন সাজু(বিশেষ প্রতিনিধি)

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর জেলা পুলিশ ব্যতিক্রম এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলার নয়টি থানার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মসজিদ ভিত্তিক সতর্কমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রার্থনার সময়ে সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় ও বর্জনীয় দিক নিয়ে নানা সচেতনতামূলক বক্তব্য তুলে ধরছেন সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। তবে গেল জানুয়ারী মাসের মসজিদ ভিত্তিক সচেতনতামূলক বক্তব্যে ঢাকা রেঞ্জের ৯৬টি থানার মধ্যে প্রথম হয়েছেন ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়ারুল ইসলাম। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজে ইমামের বয়ানের আগে জঙ্গিবাদ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে চরভদ্রাসন থানার ওসি জিয়ারুলের সচেতনতামূলক বক্তব্য এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে।

- Advertisement -

জানা যায়, করোনাভাইরাসের সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে মসজিদভিত্তিক সচেতনতামূলক বক্তব্য কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারী) জুম্মার নামাজের সময় মসজিদে উপস্থিত হয়ে জিয়ারুল ইসলাম মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে করোনায় স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে মসজিদে আগতদের সচেতন করতে নানা দিক নির্দেশনা দেন। তার দেয়া ওই বক্তব্য ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের দফতরে সংগ্রহ করা হয়। পরে যাচাই বাছাই করে ৯৬টি থানার মধ্যে চরভদ্রাসন থানার ওসির দেয়া বক্তব্যেকে সেরা বলে বিবেচিত করা হয়।

জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, জেলা পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামানের নির্দেশনায় মসজিদে মসজিদে গিয়ে মুসল্লীদের সতর্ক করা হচ্ছে। জেলার নয়টি উপজেলার ৬৫টি মসজিদে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ অফিসারগণ মসজিদভিত্তিক প্রচারণা চালাচ্ছে। মাস্ক পরিধান করা, কোলাকুলি , দল বেঁধে হাটে বাজারে গমন, আড্ডা দেয়া, লোক সমাগম এড়িয়ে চলাসহ সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে মসজিদে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে কথা রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহবান জানানো হচ্ছে। এ নিয়ে মসজিদের ইমামদেরও বিশেষ ভূমিকা পালনে অনুরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণার অংশ হিসেবে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় খুৎবার পূর্বে চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম সচেতনতামূলক বক্তব্যে বলেন, সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে সবাইকে চলতে হবে। আমরা সকলে যদি সচেতনতা অবলম্বন করি তাহলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বাহিরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামুলক। সচেতনতাই করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায়। তিনি বলেন, সবাই থানায় আসবেন। থানায় সেবা নিতে আসলে কোন টাকা লাগে না। কোন দালালকে টাকা দিয়ে প্রতারিত হবেন না। জঙ্গিবাদ মোকাবিলা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধ এবং সামাজিক অবক্ষয় দূর করাসহ অপরাধ তৎপরতা বন্ধে পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া ইভটিজিং,কিশোর গ্যাং এবং মাদকের অপব্যবহার রোধে প্রশাসন কে সহোযোগিতা করার আহবান জানান।

৯৬ থানার মধ্যে প্রথম হওয়ায় জানতে চাওয়া হলে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের অভিভাবক মাননীয় ডিআইজি স্যারের নির্দেশিত মসজিদ ভিত্তিক বক্তব্য চলমান আছে। আমিও প্রতি জুম্মায় মসজিদে গিয়ে মুসল্লিদের সচেতন করছি। তবে অত্যান্ত আনন্দের বিষয় হচ্ছে, গত মাসের মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণায় আমাকে রেঞ্জের সেরা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে আমি খুবই আনন্দিত। সেইসাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় ডিআইজি মহাদয় ও পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান স্যারকে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ