চোর সিন্ডিকেটের হামলায় সাংবাদিক মামুন আহত

৬৩৬

চোর সিন্ডিকেটের হামলায় সাংবাদিক মামুন আহত

সাইকেল চুরির বিষয়টি আড়াল করে ভিন্ন খাতে রূপ দিতে সাংবাদিককে মারধর করে বানানো হয়েছে চাঁদাবাজ। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর বাজারে। আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি জিএম মামুনকে পরিকল্পিত ভাবে মারধর করে বানানো হয়েছে চাঁদাবাজ বানানো হয়েছে।

- Advertisement -

জানাযায়,উপজেলার রতনপুর টিএন তারকনাথ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের করোনা ভাইরাসের টিকা ক্যাম্পেইন চলাকালীন সাংবাদিক জিএম মামুনের ছোট ভাই খালিদ হোসেনের সাইকেল চুরি করে একদল কিশোর গ্যাং।

সাংবাদিক জি এম মামুন জানতে পেরে তার ছোট ভাই খালিদ হোসেনকে নিয়ে সাইকেল কারা চুরি করেছে সেটি অনুসন্ধান করতে যায়। পরবর্তীতে মামুন জানতে পারে কিশোর গ্যাং এর অন্যতম সদস্য রতনপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম এর ছেলে ফরিদ হোসেন, রতনপুর বাজারের ডিমের ব্যবসায়ী আকবর হোসেনের ছেলে টিকটকার মিয়ারাজ হোসেন, এবং সবুজের যোগসাজগে সাইকেলটি চুরি করে।

সংবাদ পেয়ে কিশোর গ্যাংয়ের পরিচালনাকারী গ্যাংস্টার রতনপুর বাজারের ডিস ব্যবসায়ী রফিকের ছেলে শুভ সাংবাদিককে মামুনকে বলেন যারা চুরি করেছে তারা সবাই আমার ছোট ভাই। আপনি সন্ধ্যার পরে আসেন আমি সবাইকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি নিরসন করে দিবো।

মামুন শুভর কথা শুনে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাননি। মাগরিবের আজানের কিছুক্ষণ পরে মামুনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আসে শুভ (মোবাইলের কল রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে)। মামুন রতনপুর স্কুলের মাঠের পাশে পৌঁছালে রাস্তায় ওৎপেতে থাকা ৩০ থেকে ৪০ জনকিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তার উপর হামলা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে মামুন তার বন্ধু রতনপুর বাজারে মোটর পার্টস ব্যবসায়ী আশরাফের দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়। এসে মাইকে ওই বাহিনীরা প্রচার করতে থাকে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে এসেছে মামুন। এসময় স্থানীয় শতশত মানুষ জড় হয়ে যায় সেখানে। পরবর্তীতে উপস্থিত জনতাকে উত্তেজিত করে তুলতে মাইকে আবারও প্রচার করা হয় মিয়ারাজের পকেটে গাঁজা ঢোকানোর চেষ্টা করেছে মামুন। অপপ্রচার চালিয়ে দোকান থেকে টেনে বাহির করে মামুনের উপর হামলা চালায় ওই কিশোর গ্যাং বাহিনী।

এসময় রতনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যন এম আলীম রাজী টোকন ঘটনাস্থলে যেয়ে সাংবাদিক মামুনকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন।

সাংবাদিককে মারধর করার ভিডিও ধারণ করে ওই কিশোর গ্যাং বাহিনী। সেই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে চাঁদা দাবি করায় সাংবাদিককে গনধোলাই।

বিষয়টি সম্পর্কে শুভোর কাছে জানতে

জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইকেল চুরি করেছিল ফরিদ। মামুন ভাই আমাকে বলে ছিলো ফরিদকে সন্ধ্যার সময় হাজির করতে। আমি ফরিদকে সন্ধ্যায় হাজির করে মামুনকে ফোন দেয়। পরবর্তীতে মামুন আসার পরে চেয়ারম্যান সাহেব বিচার করেন। বিচারে মামুনের ফল্ট পাওয়ায় তাকে মারধর করা হয়েছে।

এবিষয়ে রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আলীম আল রাজী টোকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে উত্তেজিত জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করি।

এই বিভাগের আরও সংবাদ