গাবুরা সুইচ গেট নির্মাণ কাজ শুরু , আতঙ্কে চল্লিশ পরিবার।

১১

এম জুবায়ের মাহমুদ

শ্যামনগরের গাবুরার চাদনীমূখা সুইচগেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে গত ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর,জিজাইন অনুযায়ী মাটি খননের কাজ ও প্রায় শেষ পর্যায়ে এর মধ্যে দক্ষিণ প্রান্তে ১ একর ৫২ শতক রের্কডীয় জমিতে বসাবস করা চল্লিস পরিবারের ভিতরে উচ্ছেদ আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

- Advertisement -

বুধবার (১৫ জানুয়ারী) সকালে সরজমিন গিয়ে দেখা পূর্বের সুইচ গেটের ৫১ ফুট পূর্ব দিকে সরিয়ে দিয়ে নতুন গেটের কাজ করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান অন্ড ব্রাদার্স।

পানি উন্নায়ন বোর্ড সূত্রে যানাযায় গাবুরা ও চাদনীমূখা দুই প্যাকেজের কাজের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে ২০২৫ সালের জুনের প্রথম সপ্তাহের ভিতরে কাজ সম্পূর্ন করার লক্ষ্যে।

স্থানীয়রা জানান সরকারী জায়গায় সুইচ গেট নির্মাণ জন্য যে ডিজাইনে খনন করা হয়েছে, এতে তার হাতা গিয়ে রেকর্ডীয় জায়গায় পড়বে এবং বাড়িঘড় পানি চলাচলের খাল গর্ভে বিলীন হওয়ার আসঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ও চিংড়ি চাষীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পানি উন্নায়ন বোর্ডের কর্মরত ব্যাক্তিরা এ ডিজাইন করার অভিযোগ করে আতঙ্কে থাকা চল্লিস পরিবারের পক্ষ থেকে শাহজামাল মোড়ল ,মহিদুল ,আবুল কালাম ,কামরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম সহ কয়েকজন বলেন আমরা সুইচ গেট নির্মাণে কোন প্রকার বাধা দিতে চাই না ।কিন্ত যে স্থানে নির্মাণ কাজ করছে ওখানে নির্মাণ করলে আমাদের বাড়ি ঘর সব খালের ভিতরে চলে যাবে। ইত্যিমধ্যে আমাদের বাড়ি ঘরের ঢস নামতে শুরু করেছে, পানির স্রোত পড়লে আমাদের বাড়িঘর চলে যাবে বলে নিশ্চিত করেন।

তারা আরো জানায় আমাদের রের্কডীয় জায়গায় কাজ করতে আসলে আমরা তাদের বলতে গেলে আমাদের নামে মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এখান থেকে চেয়ারম্যান এর নিজের ঘেরের পানি যায়,যার কারনে তাদের পক্ষ নিয়ে আমাদের জায়গার উপরে জোর করে নির্মাণ কাজ চালাতে পারে তাতে সহযোগীতা করছে।

চল্লিস পরিবারের পক্ষে শাহাজালাল মোড়ল বাদি হয়ে এ ঘটনায় ইত্যি মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন, অভিযোগ সূত্র জানাযায় তপশীল সম্পত্তির মৌজা- পার্শ্বেমারী, জে.এল নং- ১২৭, খতিয়ান নং- ১০৭৩, হাল
দাগ ৫০২৬, আমাদের রের্কডীয় জায়গায় উপর দিয়ে সুইচগেট নির্মাণ না করতে পারে এজন্য।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান অন্ড ব্রাদার্স প্রতিনিধি মোরশেদ আমল বলেন আমাদের পানি উন্নায় বোর্ড থেকে যে ডিজাইন দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা সেই অনুযারী কাজ করছি।আমাদের ডিজাইনের বাহিরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি এম মাসিদুল আলম কাজে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে রিসিভ করেনি।

পানি উন্নায়ন বোর্ডের এস ডি ইমরান সরদার বলেন আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ বসে ওই স্থান ঠিক করছিলাম এতে ওখানকার লোকজন তাদের বাড়িঘর উপর দিয়ে পানি যাওয়ার কথা জানালে আমরা তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে কংকিরিটের ব্লাগ দিয়ে বাধ দিয়ে দেওয়ার প্লান করেছি।

এই বিভাগের আরও সংবাদ