জি এম মামুন নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের উজিরপুর বাজারে বাগদা মাছের অপদ্রব্য পুশের মেলা বসেছে। বাগদা মাছের ব্যবসায়ীরা পুশ মেলা সকাল ৮ থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য দক্ষিণ অঞ্চলের সাদা সোনা নামে পরিচিত বাগদা মাছ। রপ্তানির শুরু থেকে বহিঃবিশ্বে বাগদা মাছের ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য বিশ্বের বুকে বাগদা মাছের চাহিদা খুবই কম।
কালিগঞ্জ চম্পাফুল ইউনিয়নের উজিরপুর বাজারে নুনু গাজীর পুত্র মৎস্য ব্যবসায়ীদের সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয়দানকারী পুশ বাগদা মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ এর নেতৃত্বে ছোট বড় ব্যবসায়ী প্রায় শতাধিক ব্যক্তি বাগদা মাছে পুশ করে থাকেন।
আব্দুর রশিদ তিনি বিভিন্ন মহলের কর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে পুশ পরিচালনা করে আসছে।
পুশের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুশ ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ জানান উজিরপুর বাজারে কোন মাছের ঘরে পুশ করা হয় না। শুধুমাত্র বরফের পানি দিয়ে ভিজানো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাজারে বিভিন্ন মাছের ঘরে শাটার লাগিয়ে পুশ করা হচ্ছে। কিছু কিছু বড় ব্যবসায়ীরা তাদের নিজেদের বাড়িতে ২০ থেকে ৩০ জন মহিলা-পুরুষদের কাজে লাগিয়ে ইনজেকশনের সিলিন্স দ্বারা ভাতের মাড় বিষাক্ত কেমিক্যাল সোডা অপদ্রব্য পুশ করাচ্ছে।
পুশ মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম বড় ব্যবসায়ী ইয়াকুব গাইনের পুত্র, তপু গাইন, মৃত সাকাত বিশ্বাসের পুত্র মনি বিশ্বাস, মৃত সামসুর সরদারের পুত্র কোমর সরদার, সূর্য সরকারের পুত্র সোনা সরকার, সর্ব সং উজিরপুর।
চাঁদখালী গ্রামের আব্বাস মোড়ল, সহ শতাধিক ব্যবসায়ী বাগদা মাছের অপদ্রব্য পুশ করে থাকেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার নাজমুল হুদার কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি জানান। আমি কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার হিসেবে নতুন এসেছি। সব জায়গা চিনি না তবে আপনি বিষয়টা জানিয়েছেন আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। কালীগঞ্জ থানায় কোন ব্যবসায়ী বাগদা মাছে অপদ্রব্য পুশ করতে পারবে না। যদি আমি জানতে পারি সাথে সাথে বাগদা মাছের পুশের মাধ্যমে অপ দ্রব্য মেশানো বাগদা মাছ বিনষ্ট সহ আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।