ভারী বৃষ্টিতে গোরক্ষপুরে মৃত পাঁচ। ঝড়, বজ্রপাত এবং বৃষ্টি চলাকালীন কুশিনগরের হাটা শহরে বজ্রপাতে মা ও পুত্র মারা গিয়েছিলেন, জনপদে হাটের প্রাচীর ধসে দুই কৃষক মারা গিয়েছেন। গোরক্ষপুরের গোলা এলাকাতেও গাছ পড়ে যাওয়ার কারণে এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। উত্তর ভারতে ঝড় ও বৃষ্টির এই দাপট আরো কিছুদিন চলবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর (Weather office)।
পাশাপাশি, তীব্র গতিতে ভূখন্ডের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সরাসরি ভারত ভূখন্ডে আঘাত না হানলেও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে ভারতে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং উত্তর পূর্ব এর রাজ্যগুলিতে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাথে হতে পারে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিও। অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে বারন করা হয়েছে।
বাংলার বেশ কিছু জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ জুড়েই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা । পয়লা মে থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। বিহার ও সংলগ্ন অঞ্চলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়ে এই বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) প্রায় সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টি চলবে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা। এমনটাই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া (weather) দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ শনিবার, বিকালে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আকাশ মেঘলা থাকবে।
কলকাতা, হুগলি ও হাওড়া-সহ একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই কালবৈশাখীর দাপট শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রামে ঝড়বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। এছাড়াও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং মালদাতেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পূর্বাভাস এই সপ্তাহের শেষেও দুর্যোগ চলবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়াও। আর এই কদিন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা সর্বাধিক ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।