শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম বাবু.
বিশেষ প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন এবং খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন. এই দুইটি ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে কপোতাক্ষ নদী। গাবুরা থেকে বেদকাশী বা বেদকাশী থেকে গাবুরায় যাতায়াত করতে হলে এই কপোতাক্ষ নদী পার হওয়া ছাড়া বিকল্প আর কিছু নেই।
একটু ভাবুন তো!
সেই পারাপারেই যদি পোহাতে হয় ভোগান্তি তাহলে পরিস্থিতিটা কেমন হবে?
হ্যাঁ. আমি সেই গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চোরামুখা খেয়াঘাটের কথায় বলছি।
দুইটি ইউনিয়নের যাতায়াতের মাধ্যম হলো নৌকা. ট্রলার আর খেয়াঘাট।
আর যদি সেই খেয়াঘাটেরই অবস্থা হয় জীর্ণশীর্ণ তাহলে যাত্রীরা তো হয়রানি হবেই।
সরজমিনে দেখতে পাই-
নির্মিত খেয়াঘাট না থাকায় নদীতে ভাটা লাগলে কাদায় নেমে উঠা নামা করতে হয় সকলকে। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন বৃদ্ধ শিশু ও মহিলারা।
ঘাটে এসে নৌকা বা ট্রলার না পেলে ঝড় বন্যা রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে নৌকা বা ট্রলারে জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয় নদীর পাড়ে
বসার জন্য নেই যাত্রী ছাউনি।
কথা হয় নদী পারাপারত যাত্রী ও নৌকা চালকের সাথে. তারা বলেন-
যাত্রীঃ এখানে দৈনিক আনুমানিক ১০০-১৫০ মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু নৌকাতে উঠা নামার জন্য নেই একটি ঘাট। ভাটার সময় উঠতে গেলে নামতে হয় কাদায়। বেশি সমস্যায় পড়তে হয় বয়স্ক. শিশু ও মহিলাদের নিয়ে। সরকারের কাছে দাবি দ্রুত একটা ঘাটের ব্যবস্থা করা হোক।
নৌকা চালকঃ আমরা অনেক বছর যাবৎ এই নদীতে নৌকা চালায় এখানে নৌকা চালিয়ে আমরা জীবিকানির্বাহ করি। কিন্তু এখানে ভালো একটি ঘাট না থাকার কারনে যাত্রীরা আসতে চাই না।
সেকারনে আমরাও সমস্যার ভিতরে আছি। তাই সকলের কাছে দাবি জানাই একটা ঘাটের ব্যবস্থা করে দেন।
এলাকাবাসীর একটাই দাবী পারাপারে ভোগান্তি এড়াতে দ্রুত খেয়াঘাট নির্মান এবং দুই পারে দুইটি যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।
তথ্যসুত্রে জানতে পারি-
গাবুরা ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের মানুষের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এবং পারাপারে ভোগান্তি এড়াতে পার্শ্বেমারী ও চোরামুখা খেয়াঘাট এবং যাত্রী ছাউনি নির্মানের আশ্বাস দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।