এই মৌসুমে মশার উপদ্রব থাকেই। মশার কামড়ের যন্ত্রণা আর চুলকানি হওয়া ছাড়াও অনেকের অ্যালার্জিও দেখা দেয়।
জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে মশার কামড়ের কারণে হওয়া ত্বকের নানান সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
বরফ: মশা কামড়ালে এর ফোলাভাবে কমাতে বরফ ব্যবহার করা যায়। বরফ ত্বকের উপর তাৎক্ষনিক কাজ করে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমায়। ঠাণ্ডা ব্যাগ অথবা বরফ-কুচি মশা কামড়ানোর স্থানে কিছুক্ষণ চাপ দিয়ে ধরুন, ফোলাভাব কমে যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন পাঁচ মিনিটের বেশি না হয়। না হলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
মধু: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ব্যাক্টেরিয়ারোধী উপাদান সমৃদ্ধ। এটা ত্বকের নানান সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি মশার কামড়ের জ্বলুনিও।
সামান্য পরিমাণ মধু আক্রান্ত স্থানের ওপর মেখে কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালো ভেরা: এর নির্যাস ত্বকে বহুরকম কাজ করে। অ্যালো ভেরাতে আছে প্রদাহ নাশক উপাদান যা জ্বালা পোড়া, ক্ষত ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
অ্যালো ভেরা কেটে তা আক্রান্ত স্থানে সরাসরি ব্যবহার করুন।
বেইকিং সোডা: নানাভাবে ব্যবহার করা যায় এবং এটা মশার কামড়ের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
এক চা-চামচ বেইকিং সোডার সঙ্গের কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। আক্রান্ত স্থানের ওপর পেস্ট লাগিয়ে রাখুন। জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমে যাবে।
পেঁয়াজ: মশার কামড়ের ফলে ত্বকে হওয়া অস্বস্তি কমাতে পেঁয়াজ খুব ভালো কাজ করে। কয়েক ফোঁটা পেয়াঁজের রস মশা কামড়ানোর স্থানে দিয়ে জ্বলুনি কমানো যায়। এতে আছে ফাঙ্গাসরোধী উপাদান, যা সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
বি.দ্র. অনেকের মশার কামড়ে অ্যালার্জির থেকে শ্বাস কষ্ট, গলা ফোলা ইত্যাদি নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।