নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
প্রায় তিন বছর মালোশিয়া ভিসা বন্ধ থাকার পর ১০ ডিসেম্বর পুনরায় মালোশিয়ার সকল সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে অনুমতি প্রকাশ করে মালোশিয়ার মন্ত্রীপরিষদ। এ মোতাবেক ১৯ ডিসেম্বর রবিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ও মালোশিয়ার এম ও ইউ শ্রমবাজার স্মারক সম্পন্ন হয়েছে। মালোশিয়ার পক্ষে মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান এবং বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ উভয়ই স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
স্মারকটিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা উল্লেখিত হয়েছে। এই স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশর শ্রমিক পুনরায় গমন করতে পারবে মালয়েশিয়ায়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি শ্রমিকগন মালয়েশিয়া প্রান্তের যাবতীয় খরচাদি নিয়োগকর্তা বহন করবেন। রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়াতে পাঠানো সহ কর্মে নিয়োজিত করা এবং দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ পর্যন্ত বহন করবেন।
এছাড়া নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যায় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা শ্রমিকদের মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার চেষ্টা বারবার ব্যাহত করেছে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। তাদের তৈরি সিন্ডিকেটের অবৈধভাবে এ বাজার দখলের চেষ্টায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এটি বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ কমিটির বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয় মালোশিয়া। তবে সমোঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় গৃহকর্মী, মালি, সুইপার,ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ড, হাসপাতালে, কৃষিতে, উৎপাদন, নির্মাণ, পরিষেবা, খনন কাজে বাংলাদেশী শ্রমিক নিতে আগ্রহী হয়েছে মালোশিয়া।