ডাকাতি করতে গেলে চিনে ফেলায় গ্রেফতারকৃতরা ওই বাড়ির সবাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব তাদেরকে গ্রেফতার করে। র্যাব-১ এর লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হল নিহতদের প্রতিবেশী শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার বাজার এলাকার মৃত আরছোপ আলীর ছেলে কাজিম উদ্দিন (৫০), মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে বশির আহম্মেদ (২৬), ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত হবি উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩০), সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার গাবি গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে হানিফ মিয়া (৩২) একই জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের আজিদ উল্লাহর ছেলে এলাহি মিয়া (৩৫)।
এর আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২৬ এপ্রিল রোববার কিশোর পারভেজকে (১৭) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। পারভেজ শ্রীপুরে আবদার বাজার এলাকার কাজিম উদ্দিনের ছেলে। সে আদালতে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আবদার বাজার এলাকার প্রবাসী রেদোয়ান হোসেন কাজলের বাড়ি থেকে স্ত্রী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক স্মৃতি আক্তার ফাতেমা (৪৫), তার বড় মেয়ে সাবরিনা সুলতানা নূরা (১৬), ছোট মেয়ে হাওয়ারিন (১২) ও প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিলের (৮) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২২ এপ্রিল দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা চারজনকে গলা কেটে হত্যা করে।
র্যাব-১ এর লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম জানান, গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমের বাড়ি থেকে লুটকৃত মালামাল ও আসামিদের রক্তমাখা পরিধেয় বস্ত্র, নগদ ৩০ হাজার টাকা, ১টি আংটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বর্ণিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।