দৈনিক সময় ডেস্ক:
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দেশটির একটি আদালতে আজ সোমবার চার বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১ মামলার মধ্যে এদিন দুটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এ রায় নিয়ে এএফপির সঙ্গে কথা বলেছেন জান্তা সরকারের মুখপাত্র জ মিন তুন।
এএফপির সঙ্গে ফোনালাপে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতাবলম্বীদের উসকে দেওয়া এবং দুর্যোগ আইনের আওতায় নির্ধারিত করোনা বিধি ভঙ্গ করায় সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ নেত্রীকে ৫০৫ (বি) ধারার আওতায় দুই বছর এবং জাতীয় দুর্যোগ আইনের আওতায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে উয়িন মিন্তকেও চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তবে দুজনের কাউকে এখনই কারাগারে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জ মিন তুন। তিনি বলেন, নেপিডোতে যেখানে তাঁরা এখন আছেন আপাতত সেখানেই তাঁদের রেখে অপর মামলাগুলোর শুনানি হবে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপিডোর যে অজ্ঞাত স্থানে সু চি ও উয়িন মিন্তকে বন্দী রাখা হয়েছে তার উল্লেখ করেছেন মিন তুন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করেননি তিনি।
এর আগে গত মাসে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ মি নতুন দাবি করেছিলেন, সু চি ভালো অবস্থায় আছেন। তখন তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁকে (সু চিকে) বন্দী করলেও বাড়িতে আপনজনদের মধ্যে থাকার সুযোগ দিয়েছি। তিনি তো গৃহবন্দী।’